অনেক সময় শরীরের ছোটখাটো উপসর্গকে আমরা গুরুত্ব দেই না। তবে এসব সাধারণ উপসর্গই হতে পারে কোনো মারাত্মক রোগের প্রাথমিক সংকেত। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু ক্যান্সার ধীরে ধীরে ও নীরবেই শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। তাই কিছু লক্ষণ সময়মতো শনাক্ত করতে পারলে ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী রোগকেও রোধ করা সম্ভব।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউট (American Cancer Society) ও ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, নিচের লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
অকারণে ওজন কমে যাওয়া
আরও পড়ুনঃ চুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রেপ্তার
ডায়েট বা ব্যায়ামের পরিবর্তন ছাড়াই হঠাৎ করে ওজন কমে গেলে তা ক্যান্সারের সম্ভাব্য লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে পাকস্থলি, অগ্ন্যাশয়, ফুসফুস বা খাদ্যনালীর ক্যান্সারে এমনটি দেখা যায়। যদি ছয় মাসে ৫ কেজি বা তার বেশি ওজন কমে যায়, তবে তা গুরুত্ব সহকারে দেখা প্রয়োজন।
দীর্ঘমেয়াদি ক্লান্তি
ঘুম ও বিশ্রামের পরও যদি শরীরে স্থায়ী ক্লান্তি থাকে, তবে তা দেহে কোনো গভীর সমস্যা যেমন ক্যান্সারের ইঙ্গিত হতে পারে। রক্তাল্পতা বা রক্তের ক্যান্সার (লিউকেমিয়া) এই ধরনের ক্লান্তি তৈরি করতে পারে।
চামড়ায় অস্বাভাবিক পরিবর্তন
ত্বকে নতুন তিলের সৃষ্টি, রঙ পরিবর্তন, ঘনত্ব বাড়া বা রুক্ষ হয়ে যাওয়া হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। ত্বকের ক্যান্সার (মেলানোমা) প্রাথমিক পর্যায়ে তিল বা ঘায়ের মতোই দেখা দিতে পারে, যা ধীরে ধীরে রূপ নেয় মারাত্মক সমস্যায়।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা অস্বাভাবিক রক্তপাত
প্রজনন বয়সে নয় এমন নারীদের মাসিক ছাড়া রক্তপাত, প্রস্রাবে বা মলত্যাগে রক্ত আসা, মুখ ধোয়ার সময় রক্ত পড়া।এসবই হতে পারে জরায়ু, মূত্রাশয়, কোলন বা মুখের ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ। দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন।
শরীরের কোথাও হঠাৎ গাঁঠ, চাকা বা ফোলাভাব দেখা দিলে তা উপেক্ষা করা ঠিক নয়। বিশেষ করে স্তন, ঘাড়, বগল, গলার কাছে কোনো গাঁঠ দেখা দিলে বিশেষজ্ঞদের মতে তা হতে পারে টিউমার বা ক্যান্সারের পূর্বাভাস।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এ ধরনের উপসর্গগুলো অবহেলা না করে নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ করা উচিত। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে ক্যান্সারের চিকিৎসা তুলনামূলকভাবে সহজ ও কার্যকর হয়ে ওঠে।