চলেই গেলেন ফ্ল্যাইট লেফট্যানেন্ট তৌকির ইসলাম সাগর। রাজধানীর উত্তরায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস।
বিমান বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, শুরুতে তৌকির বেঁচে ছিলেন; তার পালস পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এখন তিনি আর নেই। এর আগে তাকে হেলিকপ্টার এমআই ১৭-তে করে রাজধানীর একটি সিএমএইচ হাসপাতালের সিসিইউ-তে ভর্তি করা হয়। ওই সদস্য আরও জানান, বিধ্বস্ত হওয়ার সময় ফ্ল্যাইটেই ছিলেন তৌকির; এটি ছিল তার প্রথম সোলো ফ্লাইট।
এদিকে ঘটনাস্থলে এখনও উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা। যোগ দিয়েছেন বিজিবি সদস্যরাও। অন্যদিকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে অন্তত ৫০ জন; যাদের অধিকাংশই রাজধানীর জাতীয় বার্ন ইউনিটে। যদিও এই সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে বলে জানা গেছে। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরের দিকে মাইলস্টোন কলেজ এলাকায় বিমানটি বিধস্ত হয়। ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান। জানা গেছে, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর নাম মো. জোনায়েদ হাসান। তার আইডি কোড নম্বর ২০৬৬। সে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। অপরজন নাম মো. তানভীর আহমেদ। সে একই স্কুলেরঅষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
কী হয়েছিল বিধ্বস্ত হওয়ার শেষ মুহূর্তে। ফ্ল্যাইট লেফট্যানেন্ট তৌকির ইসলাম সাগর কী ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন? বিমানবাহিনীর এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছেন, ‘তৌকিরের আজ প্রথম একক মিশন ছিল, একটু আগে তিনি ডুয়াল ফ্লাইট পরিচালনা করেছেন। এয়ারক্রাফট টেকঅফ করার একটুখানি যাওয়ার পর এয়ারক্রাফট কোন রিঅ্যাক্ট করছিল না। তারপরে এয়ারক্রাফট স্টল করে, তখন তার কন্ট্রোলে ছিল না। মোবাইল টাওয়ার থেকে তাকে ইজেক্ট করতে বলা হচ্ছিল, কিন্তু এত লোয়ার ফ্লাইয়িং হচ্ছিল যে, ওই সময়ে ইজেক্ট করা আসলে পসিবলও ছিল না। তিনি চেষ্টা করছিলেন যে, অন্যভাবে কিছু করা যায় কি না। কিন্তু দুর্ভাগ্য।’
ওই সদস্য আরও বলেন, ফ্ল্যাইটটি দিয়াবাড়ির ফাঁকা স্থানে ফেলতে চেয়েছিলেন তৌকির ইসলাম। এজন্য বেশ কিছু সময় ধরে চেষ্টাও চালাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেননি; জেটটি বাউন্স করে মাইলস্টোন এলাকায় গিয়ে আছড়ে পড়ে।