Thursday, July 17, 2025

কী ঘটেছিল ময়নার সঙ্গে, মরদেহ কীভাবে গেল মসজিদে?

আরও পড়ুন

নয় বছরের ফুটফুটে ময়না। প্রতিদিনের মতো খেলাধুলা করতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল, কিন্তু আর ফেরেনি। একদিন পর ময়নার নিথর দেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায় বাড়ির পাশের মসজিদে।

নিখোঁজের পরদিন বাড়ির পাশে মসজিদে মেলে মায়মুনা আক্তার ময়নার রক্তাক্ত মরদেহ।

মায়মুনা আক্তার ময়নার বাবার নাম আব্দুর রাজ্জাক। তিনি একজন প্রবাসী। বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের হাবলিপাড়ায়। ময়না বাড়ির পাশের মাদ্রাসায় ইবতেদায়ির ছাত্রী ছিল।

ময়নার পরিবার জানিয়েছে, শনিবার দুপুর থেকে তাদের মেয়েকে পাওয়া যাচ্ছিল না। আশপাশের বিভিন্ন জায়গা এবং পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন তারা। রাতে থানায় একটি জিডি করেন।

আরও পড়ুনঃ  বড় সুখবর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য

এরপর একটি নির্ঘুম রাত কাটে ময়নার পরিবারের। কিন্তু মেয়েকে তারা খুঁজে পান না। রোববার সকালে বাড়ির কাছের মসজিদের দোতলায় ময়নার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

ময়নার মা নীপা আক্তার সময় সংবাদকে বলেন, ‘আমার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।’ তিনি আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

এদিকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের প্রায় ২৪ ঘণ্টার মাথায় আজ সোমবার সকালে সরাইল থানায় ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন নীপা আক্তার। মামলায় সুনির্দিষ্ট কাউকে আসামি করা হয়নি, বরং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলাটি দায়ের করেছেন।

আরও পড়ুনঃ  জানেন নতুন ভূমি আইনে কোন কাগজ না থাকলে জমি হারাতে হবে?

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তপন সরকার জানান, ঘটনার পরপরই জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মসজিদের মুয়াজ্জিনসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। শিশুটি হত্যার আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহনাজ খাতুনের গ্রেফতার ও নির্যাতনের অভিযোগ

তপন সরকার জানান, ঘটনাটি পিবিআই, সিআইডিসহ একাধিক সংস্থা তদন্ত করছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ