Thursday, July 17, 2025

আয়াতুল্লাহ খামেনি কি সত্যিই রাসূল (সা.)-এর বংশধর?

আরও পড়ুন

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে শুধু একজন রাজনীতিক হিসেবে বিবেচনা করলে ভুল হবে। তিনি একজন আলেম। ধর্মীয় চর্চা, শাসনক্ষমতা, ইসলামবিরোধীদের বিপক্ষে শক্ত অবস্থান মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী নেতায় পরিণত করেছে তাকে। বিশেষ করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তার একক অবস্থান তাকে অনন্য একটি অবস্থানে নিয়ে গেছে।

আয়াতুল্লাহ খামেনি ১৯৩৯ সালের ১৭ জুলাই ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন খ্যাতনামা আলেম আয়াতুল্লাহ সৈয়েদ জাওয়াদ খামেনি।

আরও পড়ুনঃ  ব্রেকিং নিউজ : ঢাকাসহ সারাদেশের জন্য আসছে বড় দুঃসংবাদ

আয়তুল্লাহ খামেনি নিজেকে হোসাইনী সাইয়েদ বলে দাবি করেছেন, যার অর্থ—তিনি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রাঃ)-এর বংশধর। যদিও আধুনিক ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে এর প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। তবুও ইসলামী ঐতিহ্য ও বংশতালিকার ভিত্তিতে তার এই পরিচয় মুসলিম বিশ্বে তার ধর্মীয় গ্রহণযোগ্যতা ও মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করেছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রেডিও ফারডা ডটকম, উইকিপিডিয়াসহ বিভিন্ন সাইটের তথ্য বলছে, খামেনি পরিবার বা খামেনেই রাজবংশ হলো ইরানি আজেরি সাইয়্যিদ পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। যারা নিজেদেরকে ইসলামের চতুর্থ ইমাম আলী ইবনে হুসেন জয়ন আল-আবিদিনের বংশধর বলে দাবি করে। খামেনির বংশধারা অনুসারে, তার পূর্বপুরুষদের আবাসস্থল আজারবাইজান, বর্তমান ইরান, নাজাফ, তাফরেশ ইত্যাদি অঞ্চলে ছিল।

আরও পড়ুনঃ  চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ছেলেদের পুরুষত্ব, ব্যবসা চলছে রমরমা

খামেনির রাজনৈতিক উত্থান শুরু হয় ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের মাধ্যমে। তিনি ছিলেন ইমাম রুহুল্লাহ খোমেনির ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিপ্লবের অন্যতম মুখ। বিপ্লবের পর তিনি ইরানের প্রথম আলেম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। পরে ১৯৮৯ সালে ইমাম খোমেনির মৃত্যুর পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন, এবং আজও সেই পদে অধিষ্ঠিত আছেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ