বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা যদি খুনের আসামি হয় তাহলে গোপালগঞ্জের পাঁচজনকে হত্যা করা হয়েছে এবং তাদের ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন হয়েছে; কেন এটা করা হলো। এসব প্রশ্ন কিন্তু বিদেশ থেকে আসবে। তার উত্তর সরকারকে দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যারা মারা গেছেন তারা সবাই নিরীহ মানুষ।
তাদের কেন হত্যা করা হলো। একটা দল এখনো নিবন্ধন পায়নি। তাদের পেছনে সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। এসব টাকা তো জনগণের।
তারা পিকনিক করতে যাবে, আর তাদের পেছনে শত শত গাড়ি যাবে। আবার কিছু হলে সামরিক বাহিনীর এপিসির মধ্যে গিয়ে লুকাবে।’
হাবিব বলেন, ‘আমাকে তো কত জায়গায় আক্রমণ করেছে, কই আমি তো পালাইনি। এদিক দিয়ে গুলি করেছে, ওদিক দিয়ে দাঁড়িয়েছিল।
কিন্তু আমরা তো কখনো মাঠ থেকে পালাইনি। আবার কিছু হলেই তারা নানারকম কথা বলেন। তাদেরকে কথা বলায় সংযত হতে হবে। রাজনীতি করতে বয়স লাগে। এত তাড়াহুড়া করে এইবারই ক্ষমতায় যেতে হবে।
‘আমাদের দল ক্ষমতায় যাওয়ার মতো শক্তিশালী যতক্ষণ না হবে ততক্ষণ নির্বাচন হবে না। সরকারও বলছে যে, হ্যাঁ ততক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা কনফার্ম হবে যে ২০০ সিট পাবে, ৩০০ সিট পাবে। তাহলে কত বছর বলে দিলে হয়, আমরা বাড়ি চলে যাই। একবারে বলে দিক যে ২০৩০ সালে নির্বাচন, এখন নির্বাচন হবে না। আমরা বাড়িতে গিয়ে ঘুমাই।’
‘এটা কি রাজনীতি হচ্ছে। আজকে যে ঘটনাটা ঘটেছে, আমি এগুলোকে মোটেই পছন্দ করি না। বড় হওয়ার পেছনে কতগুলো জিনিস দরকার। এরা যে আন্দোলনটা করেছিল, আন্দোলন সবাই মিলেই করেছে; কিন্তু এরা আন্দোলন টোটালি নিজেরা ক্যাশ করতে চায় এবং তারা যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে এবং তাদের চলাফেরা গাড়ি ঘোড়া সবকিছু মিলিয়ে এটা ছাত্রদের বৈশিষ্ট্য হলো না।