বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আজকের জাতীয় সমাবেশকে ‘অবিশ্বাস্য’ আখ্যায়িত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ। তিনি মনে করেন, এ সমাবেশ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি ‘মিথ’ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে এবং ভবিষ্যতে এটি নিয়ে গবেষণাও হতে পারে।
শনিবার (১৯ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া এক পোস্টে হান্নান মাসউদ এসব মন্তব্য করেন।
তিনি লিখেন, ‘গুদারাঘাট থেকে সকাল এগারোটায় বেরিয়েছি টিএসসিতে তরুণ লেখক ফোরামের প্রোগ্রামে যোগ দিতে। রাস্তায় কোনো গাড়ি নেই, সেই হাতিরঝিল থেকে মানুষজন হাঁটছে। হাজার হাজার মানুষ, তাদের গন্তব্য একটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশস্থল, যেটার দূরত্ব প্রায় আট কিমি। এখন আছি পল্টন মোড়ে, গাড়ি আর সামনে এগোচ্ছে না।’
সারাবিশ্ব থেকে দেশকে বিচ্ছিন্ন করে চলে আওয়ামী সরকারের দমন-পীড়ন, প্রাণ যায় ১শ’ জনের
১৬ বছর ধরে ন্যূনতম রাজনৈতিক স্পেস না পাওয়া একটি দলের এমন গণসমাবেশকে উল্লেখযোগ্য বলে উল্লেখ করে মাসউদ বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এই সমাবেশটি হয়তো একটি মিথ হয়ে থাকবে। অনেক গবেষণাও হবে হয়তো।’
পোস্টের শেষাংশে তিনি আরও যোগ করেন, ‘একাত্তর প্রশ্ন এড়িয়ে ভোটের রাজনীতিতে তারা কতটুকু সফল হয়, এখন সেটাই দেখার পালা।’
উল্লেখ্য, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ৭ দফা দাবিতে আয়োজিত এই সমাবেশে সকাল থেকেই নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সমাবেশ শুরুর অনেক আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রায় কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। হাজারো কর্মী-সমর্থক অবস্থান নিয়েছেন উদ্যানে ও তার আশপাশে।
জামায়াতের ৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, সব গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, ‘জুলাই সনদ’ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন ও এক কোটিরও বেশি প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এই প্রথমবারের মতো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এককভাবে জাতীয় সমাবেশ করছে জামায়াতে ইসলামী এ ঘটনাকে ঐতিহাসিক বলছেন দলটির নেতারা।