গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে সহিংসতার মধ্যে গুলিবিদ্ধ রমজান মুন্সী নামে আরও একজন মারা গেছেন। আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রিকশাচালক রমজান। তিনি গোপালগঞ্জ সদরের থানাপাড়া এলাকার মৃত আকবর মুন্সীর ছেলে।
এ নিয়ে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট পাঁচজন মারা গেলেন। ঘটনার দিন মারা যান–সোহেল মোল্লা, দীপ্ত সাহা, রমজান আলী ও ইমন তালুকদার।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক রমজান মুন্সীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গোপালগঞ্জের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ সুমন বিশ্বাস (৩০) ও আব্বাস আলী (৩০) নামে আরও দুজন ঢামেকে চিকিৎসাধীন।
রমজান মুন্সীর ভাই ইমরান মুন্সী বলেন, ‘আমার ভাই রিকশা চালাতো। সহিংসতার দিন দুপুর আড়াইটার দিকে রিকশা নিয়ে যাওয়ার সময় অজ্ঞাত ব্যক্তির করা দুটি গুলি তাঁর শরীরে লাগে। পরে বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো গেল না।’
পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক বলেন, রমজান মুন্সীর মৃত্যুর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।
এদিকে, গোপালগঞ্জ জেলা শহরের পরিস্থিতি এখনো অনেকটাই থমথমে। আজ শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে কারফিউ। তবে গতকালের চেয়ে আজ পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গ্রেপ্তার আতংকে মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। শহরের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে কাঁচা বাজার ও ওষুধের দোকান এবং ফলের দোকান খোলা রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান ছিল। তবে এতে কতজন আটক বা গ্রেপ্তার হয়েছে সে তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
গত বুধবার গোপালগঞ্জ সদরে পৌর পার্কের উন্মুক্ত মঞ্চে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে দিনভর দফায় দফায় হামলা, সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।