বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যাওয়া যেন প্রতি মাসেই আতঙ্কের নাম। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনে কিছু সাধারণ পরিবর্তন আনলেই তাৎক্ষণিকভাবে কমিয়ে ফেলা যায় মাসিক বিল। নিচে জানানো হলো এমন ৮টি কার্যকর উপায়, যেগুলো আপনার বিদ্যুৎ বিল কমাতে সাহায্য করবে, তাও কোনো বাড়তি খরচ ছাড়াই।
১. ফ্রিজের দরজা খুলে রাখবেন না দীর্ঘক্ষণ
ফ্রিজের দরজা প্রতি বার খোলা মানেই হিট এক্সচেঞ্জ, ফলে সেটিকে আবার ঠান্ডা রাখতে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। দরজা খোলার সময় নিশ্চিত করুন, আপনি কী নিতে যাচ্ছেন তা আগে থেকেই ঠিক আছে।
২. এলইডি বাল্ব ব্যবহার করুন
প্রচলিত ইনসানডেসেন্ট বা সিএফএল বাতির তুলনায় এলইডি লাইট ৮০% পর্যন্ত কম বিদ্যুৎ খরচ করে। ঘরের সব বাতি এলইডিতে বদলে ফেললেই বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে উল্লেখযোগ্যভাবে।
৩. ডিভাইস ‘স্ট্যান্ডবাই’ মোডে না রেখে বন্ধ করুন
টিভি, চার্জার, রাউটার, মাইক্রোওয়েভ যেকোনো ইলেকট্রনিক যন্ত্র যখন ব্যবহার হয় না, তখনও ‘স্ট্যান্ডবাই’ মোডে বিদ্যুৎ খরচ করতে থাকে। সেগুলো পুরোপুরি সুইচ অফ করুন।
৪. দিনের বেলায় প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার করুন
যেখানে সম্ভব, জানালা খুলে দিনের আলো ব্যবহার করুন। দিনের বেলা ঘরের ভেতরে বাতি জ্বালিয়ে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই।
৫. এসি ২৬ ডিগ্রি বা তার বেশি তাপমাত্রায় চালান
এয়ার কন্ডিশনার ২৪–২৬ ডিগ্রির মধ্যে রাখলে ঠান্ডাও থাকবে, আবার বিদ্যুৎ খরচও কমবে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি এক ডিগ্রি কমালে খরচ ৬% পর্যন্ত বাড়ে।
৬. ওয়াশিং মেশিন পূর্ণ লোডে চালান
কম কাপড় দিয়ে বারবার চালানোর বদলে একবারেই পূর্ণ লোড দিয়ে ওয়াশ করলে বিদ্যুৎ এবং পানির সাশ্রয় হয়। সম্ভব হলে ‘কোল্ড ওয়াশ’ মোড ব্যবহার করুন।
৭. বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী রেটিংযুক্ত যন্ত্রপাতি কিনুন
ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ‘স্টার রেটিং’ দেখে কিনুন। ৫-স্টার রেটিংযুক্ত রেফ্রিজারেটর বা এসি বিদ্যুৎ খরচ কমায় দীর্ঘমেয়াদে।
৮. ওয়াটার হিটার/গিজার দিনভর চালিয়ে রাখবেন না
শীতের সময় অনেকেই গিজার সারাদিন চালিয়ে রাখেন। এটি বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ করে। প্রয়োজনমতো চালান, এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
ছোট ছোট পরিবর্তনে বড় সাশ্রয় সম্ভব। এই ৮টি পদ্ধতি মেনে চললে বিদ্যুৎ বিল ২০–২৫% পর্যন্ত কমে আসবে বলে মনে করছেন জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞরা। শুধু সচেতন হলেই মাস শেষে খরচে হালকা শ্বাস নেওয়া যাবে।