আওয়ামী লীগ নেই, এরপর বিএনপিও থাকবে না, তাহলে কি একাত্তরের রাজাকারেরা দেশ চালাবে—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ রোববার মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার দামলা এলাকায় বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুর বাড়িতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘জামায়াত শুধু বাংলাদেশেই নয়, ভারত ও পাকিস্তানেও রয়েছে। সেই কারণে তারা সাধারণের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তারা কখনো মানুষের ভাষা বোঝে না, তারা শুধু নিজের মতলব হাসিল করতে চায়। কেয়ামত পর্যন্ত জামায়াত বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
‘এ কারণেই বলব, স্বাধীনতাযুদ্ধে যেমন আমাদের রক্ত রয়েছে, জীবনদান রয়েছে, শ্রম রয়েছে; তেমনি আন্দোলনেও আমাদের রক্তদান, শ্রম ও কষ্ট রয়েছে। এখন আওয়ামী লীগ নেই, এরপর বিএনপিও থাকবে না, তাহলে কি একাত্তরের রাজাকারেরা দেশ চালাবে। এটা আমরা বেঁচে থাকতে মেনে নেব না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, ‘জামায়াতের যেসব দফা-টফা, এগুলো সবই হলো নির্বাচনকে ভন্ডুল করার জন্য। এবার আওয়ামী লীগ নেই, সেই কারণে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। এটা জামায়াত সহ্য করতে পারছে না। আমি নিশ্চিত, কেয়ামত পর্যন্ত বাংলাদেশে জামায়াতের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা একাত্তর সালকে স্বীকার করে না, যারা স্বাধীনতাকে স্মরণ করে না, যারা বলে পাকিস্তান-ভারতের যুদ্ধ হয়েছে, স্বাধীনতাযুদ্ধ হয়নি; তাদের কথা শোনার মতো সময় বাংলাদেশের মানুষের নেই। তারা চক্রান্ত করুক, ষড়যন্ত্র করুক, নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করুক, আমরা তা মোকাবিলা করব।’
নির্বাচনের আয়োজন করুন, কেউ যদি চাপ দেয়, বিএনপি পাশে থাকবে: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়নির্বাচনের আয়োজন করুন, কেউ যদি চাপ দেয়, বিএনপি পাশে থাকবে: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, জেলা বিএনপির সদস্য আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল ও জসিম মোল্লা, ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, বিএনপি নেতা নুরুজ্জামান শিকদার, জেলা নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের নেতা মাহমুদ হাসান ফাহাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।