লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল থেকে বাদ পড়েছেন ২০ হাজারের বেশি প্রার্থী। এ ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন ফেল করা প্রার্থীরা। তারা বলছেন, পদ বিষয়ভিত্তিক পদ ফাঁকা থাকলেও প্রার্থীদের ফেল করানো হয়েছে।
পদ ফাঁকা থাকলেও প্রার্তীদের ফেল করানোর বিষয়টি সামনে এসেছে এনটিআরসিএর সংগৃহীত শূন্য পদের তথ্য বিশ্লেষণে।প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ভৌত বিজ্ঞানে পদ ফাঁকা রয়েছে ১৩ হাজার ৯৭টি। এ পদে ভাইভায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ৪ হাজারের বেশি প্রার্থী। আর উত্তীর্ণ করানো হয়েছে ২ হাজার ৭১২ জনকে।
সহকারী মৌলবিতে (আরবি) সারা দেশে পদ ফাঁকা আছে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার। ১৮তম নিবন্ধনে এ বিষয়ে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ৫ হাজার ৫৩১ জন। মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ৫ হাজার ৫২২ জন। চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৩৯৯ জন। আর ফেইল আসছে ১১২৩ জনের।
গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান, প্রভাষক, মাদরাসা, ও কারিগরি মোট পদসংখ্যা ৫ হাজার ৭০০ এর বেশি। এ পদগুলোতে ভাইভা প্রার্থী ছিলেন এক হাজার ২৩৩ জন। আর পাস করানো হয়েছে ৮৫২ জন। ফেল করানো হয়েছে ৩৮১ জনকে।
ইবতেদায়ী মৌলবিতে ৮ হাজারের বেশি পদ ফাঁকা রয়েছে। এ পদে লিখিত পাস করেছিলেন এক হাজার ৫২ জন। এদের মধ্যে ১১৬ জন মৌখিক পরীক্ষায় ফেল করেছেন।
শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঁচ হাজারের বেশি পদ ফাঁকা রয়েছে। এ পদে ১৮তম নিবন্ধনে ভাইভায় অংশগ্রহণ করেছিলেন দুই হাজার ৬৪১ জন। চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন এক হাজার ৭০০ জন। আর ফেল করানো হয়েছে ৯০০ এর অধিক প্রার্থীকে।
জানতে চাইলে এনটিআরসিএর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষায় মূল ভূমিকা পালন করেছেন এক্সটার্নাল অর্থাৎ বাহির থেকে যারা পরীক্ষা নিতে এসেছিলেন তারা। প্রার্থীদের পাস, ফেল অনেকটা তারাই নির্ধারণ করেছেন। মৌখিক পরীক্ষা এবার তুলনামূলক কঠিন হওয়ায় ফেলের সংখ্যা কিছুটা বেশি।’