দুবাইয়ের স্বর্ণবাজারে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ফের ৩০০ দিরহামের নিচে নামতে পারে, এমন পূর্বাভাস দিলো আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক সিটি। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকেই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমার প্রবণতা দেখা দিতে পারে, যা ২০২৬ সালের মধ্যেই আরও জোরালো হবে। খবার গালফ নিউজ
২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে প্রথমবারের মতো দুবাইয়ে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ৩০০ দিরহাম অতিক্রম করে। এরপর এক পর্যায়ে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রতি গ্রাম ৩৮৩ দিরহামে। বর্তমানে বাজারমূল্য ৩৭৮.৫ দিরহাম, আর ২৪ ক্যারেটের দাম ৪০৮.৭৫ দিরহাম।
সিটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১২ মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কমে ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ডলারের মধ্যে নেমে আসতে পারে প্রতি আউন্সে। এর পেছনে যুক্তি হিসেবে তারা দেখিয়েছে, ২০২৫ সালের শেষ দিকে মার্কিন অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারে, যার ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বর্ণের প্রতি আগ্রহ কমে যেতে পারে।
সিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ ও ২০২৬ সালে স্বর্ণে বিনিয়োগ প্রবণতা কমে যাবে। কারণ মার্কিন নির্বাচন ও অর্থনৈতিক গতি পুনরুদ্ধারের আশা বাজারে নতুন বার্তা দেবে।’
তবে দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এই পূর্বাভাসে একমত নন। কানজ জুয়েলার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনিল ধানক বলেন, ‘আমার বিশ্বাস ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৮০০ ডলার পর্যন্ত যেতে পারে। বাজারে যে অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা রয়েছে, তা স্বর্ণকে আরও মূল্যবান করে তুলবে।’
বিনিয়োগ বিশ্লেষকরা বলছেন, অনেক ক্রেতা এখন স্বর্ণের ডিজিটাল বিকল্প যেমন গোল্ড অ্যাকাউন্ট, ইটিএফ বা স্বর্ণে বিনিয়োগভিত্তিক অ্যাপের দিকে ঝুঁকছেন। কারণ বর্তমান দাম অনেকের জন্য ভারী হয়ে যাচ্ছে।
স্বর্ণ বিক্রেতারা বলছেন, যদি দাম ৩০০ দিরহামের নিচে নেমে আসে, তাহলে বাজারে আবারও বড় ধরনের ক্রয়চাপ তৈরি হতে পারে। একজন বিক্রেতা বলেন, ‘স্বর্ণের দাম কমা মানেই সাধারণ মানুষের আবারও বিনিয়োগের সুযোগ, উপহার কেনার সুযোগ।’
তবে শেষ কথা বলবে বাজার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো যদি স্বর্ণ কেনা বন্ধ করে দেয় বা কমিয়ে আনে, তবেই দামের বড় পতন সম্ভব। আর ততদিন পর্যন্ত ৩০০ দিরহামের নিচে নামার সম্ভাবনা কেবলই জল্পনা।