শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি শেষ হচ্ছে আজ (শনিবার)। তবে, ছুটির সময় দেশে হঠাৎ করোনা ও ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে দেশের স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ডেঙ্গু ও করোনা মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছিল।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল গণমাধ্যমকে জানান, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী স্কুলগুলো প্রস্তুতি নিচ্ছে। অভিভাবকদেরও অনুরোধ করবো, তারা যেন তাদের সন্তানদের সে অনুযায়ী প্রস্তুত করেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতেতে বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। রোববার (২২ জুন) থেকেই বিদ্যালয় খুলছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের ব্যবস্থাগুলো সবাইকে মানতে হবে।
এদিকে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। ৩৫২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭ হাজার ৪২৯ জন। এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৬ হাজার ৫১৬ জন। মারা গেছেন ৩১ জনের।
এ অবস্থায় অভিভাবকরা বলছেন, চারপাশে ডেঙ্গুর ভয়াবহ পরিস্থিতি, সাথে করোনার প্রকোপও বাড়ছে। বাচ্চাদের স্বাস্থ্য সবচেয়ে বড় বিষয়। স্কুল বন্ধ থাকার সময়টাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কতটা হয়েছে, সেটা নিশ্চিত নই। তাই চিন্তায় আছি।
অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু বলেন, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু ও করোনার ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই। ফলে অভিভাবকরা সন্তানকে পাঠানো নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন।
তবে মাউশি জানিয়েছে, করোনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্কুল-কলেজের মাঠ ও শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মশার লার্ভা ধ্বংস করতে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা চলছে।