যুদ্ধবিরতির পর পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে নতুন ঘোষণা দিয়েছে ইরান। দেশটির পারমাণবিক সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ ইসলামি এ ঘোষণা দিয়েছেন।মঙ্গলবার (২৪ জুন) মেহের নিউজের বরাতে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মোহাম্মদ ইসলামি বলেন, ইরানের প্রধান পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ধারাবাহিক হামলার পর ইরান তার পারমাণবিক শিল্পের ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন করছে। এছাড়া এটি পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, উৎপাদন ও সেবার প্রক্রিয়ায় কোনো বাধা না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলোর দ্রুত পুনরুদ্ধারে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এর আগে ২২ জুন ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি জানিয়েছে, ইরানের ৩টি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ইরানের ৩টি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এগুলো হলো ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহান।
ট্রুথ সোশ্যালে এক বার্তায় ট্রাম্প লেখেন, আমরা ইরানের ৩টি পারমাণবিক স্থাপনা—ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহানে আমাদের অত্যন্ত সফল হামলা সম্পন্ন করেছি। সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে রয়েছে।
এদিকে সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানে অপারেশন মিডনাইট হ্যামার পরিচালনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান দিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইরানের ৩টি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এগুলো হলো ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহান।
সিএনএন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এ হামলায় বি-২ স্টিলথ বিমান ছাড়াও আরও বিভিন্ন বিমান অংশ নিয়েছে। এরমধ্যে ট্যাংকার, যুদ্ধবিমানসহ বিভিন্ন বিমান রয়েছে। সব মিলিয়ে অভিযানে মার্কিন সামরিক বাহিনীর ১২৫ টির বেশি বিমান অংশ নিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযানে ৭টি বি-২ বোমারু বিমান অংশ নিয়েছে। এসব বিমানের প্রতিটি দুটি করে বাংকার বিধ্বংসী বোমা বহনে সক্ষম। যার প্রতিটি বোমার ওজন ৩০ হাজার পাউন্ড। এছাড়া অভিযানে জ্বালানি ভরার ট্যাংকার নজরদারি উড়োজাহাজ ও যুদ্ধবিমান অন্তর্ভুক্ত ছিল।