ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর টানা হামলায় নিহতের মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। বুধবার (১৯ জুন) একদিনেই প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৭২ ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে অন্তত ২৯ জন নিহত হয়েছেন ত্রাণ সংগ্রহের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকার সময়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।
চিকিৎসা সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার ভোরে মধ্য গাজার নেটজারিম করিডোরের কাছে সালাহ আল-দিন সড়কে ত্রাণের জন্য জড়ো হওয়া মানুষের ওপর ইসরাইলি হামলা চালানো হয়। এতে কমপক্ষে ১০০ জন আহত হন।
একই দিনে গাজা শহরের দক্ষিণাঞ্চলের জেইতুন এলাকায় একটি বাড়িতে বিমান হামলায় প্রাণ হারান আরও আটজন। দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি শিবিরে বাস্তুচ্যুতদের অস্থায়ী তাঁবুগুলোতে চালানো হামলায় নিহত হন আরও আটজন।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফার তথ্যমতে, এসব হামলায় নিহতদের মধ্যে এক নারী ও দুই শিশু রয়েছে। এছাড়া মধ্য গাজার মাগাজি শিবিরে এক পরিবারের স্বামী, স্ত্রী ও শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন বলেও নিশ্চিত করেছে স্থানীয় সূত্র।
এদিকে চলমান এই ভয়াবহ হামলার নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। গোষ্ঠীটি জানায়, গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত বিতরণকেন্দ্রগুলোতেও ত্রাণপ্রার্থীদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
হামাস বলেছে, ‘নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ধারাবাহিক গণহত্যা, তাদের ক্ষুধার সুযোগ নিয়ে আক্রমণ, জোরপূর্বক উচ্ছেদ এবং কথিত ‘নিরাপদ’ এলাকাগুলো সংকুচিত করা—সবই যুদ্ধাপরাধের শামিল।’ সংস্থাটির দাবি, ইসরাইল পরিকল্পিতভাবে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা এতে উৎসাহ জোগাচ্ছে।