ইরানের গোয়েন্দা সংস্থার হাতে ধরা পড়েছেন এক বিদেশি নারী, যিনি ইহুদি গোয়েন্দা সংস্থার (মোসাদ) হয়ে কাজ করছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ইসলাম ধর্মের ছদ্মবেশে ইরানে ঢুকে, তিনি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে বিদেশে পাচার করছিলেন বলে গোয়েন্দাদের দাবি।
সূত্র জানায়, ওই নারী নিজেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে ইরানে প্রবেশ করেন। তিনি বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও দাতব্য কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে স্থানীয়দের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করছিলেন।
তবে ইরানের নিরাপত্তা সংস্থা তার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে এক পর্যায়ে গোপন তথ্য সংগ্রহ ও সংযোগ স্থাপনের প্রমাণ পায়। সন্দেহ আরও ঘনীভূত হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে ভয়াবহ সব তথ্য।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওই নারী কয়েক বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে সফর করে কৌশলে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন এবং তা সরাসরি মোসাদে পাঠাতেন। ইরান সরকার বিষয়টিকে “জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র” বলে ঘোষণা করেছে।
ইরানের একজন উচ্চপদস্থ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন,
“আমরা ইসলামের পবিত্রতা নস্যাৎ করতে নয়, বরং তাকে রক্ষা করতেই এসব ষড়যন্ত্রের মুখোশ উন্মোচন করছি। বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বারবার ইসলামের আবরণ ব্যবহার করে মুসলিম রাষ্ট্রে বিভ্রান্তি ছড়াতে চায়।”
ইরানে এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ইরানি জনতা ও ধর্মীয় নেতারা এ বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং দেশটির নিরাপত্তা সংস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সময়মতো পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।
এ ঘটনায় এখনো তদন্ত চলমান রয়েছে এবং আরও চক্রান্তকারী গ্রুপের সন্ধানে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানায় ইরানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়।